পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় চেয়ারম্যানসহ তার দলবলের হামলায় এক ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতে পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কাবিখার আওতাভুক্ত কাজকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ইন্দুরকানী উপজেলার ১ নম্বর পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বহুদিনের দায়িত্ব পালন করছেন নলবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সত্তার হাওলাদারের ছেলে গোলাম সরোয়ার বাবুল (৬৫)। সেই সূত্রে কাবিখার বরাদ্দে হওয়া রাস্তার কাজে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদারের (৬৪) নাম প্রথমে থাকলেও পরে সেই নাম সরে যায়। সেই কাজ থেকে তার নাম সরে যাওয়ার কারণ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। রোববার রাতে পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান, তার বড় ছেলে, স্থানীয় ইয়াকুব আলী হাওলাদারের ছেলে চৌকিদার শফিকুল ইসলাম স্বপন (৪৫), সিদ্দিক আকনের ছেলে উজ্জল আকন (৩২) ও সজল আক্তারসহ লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদারসহ (৬৪) আরো অনেকে আহত হন। অন্যরা হলেন- ইউপি সদস্যের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫), প্রতিবেশী গদারহাওলা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী শেখের ছেলে সিদ্দিক শেখ (৬৫), মৃত রাহেন উদ্দিন শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৫৫), মৃত আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে আ. হক হাওলাদার (৫০), মৃত আজাহার আলীর ছেলে তোতা হাওলাদার (৫৩)। পরে আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ১ নম্বর পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও নাটকীয়। মেম্বার নিজেই লোকজন নিয়ে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। বাজারে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে কিছু ছেলের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি সেই রাস্তায় কাজের বরাদ্দ না দিয়ে অন্য রাস্তায় বরাদ্দ দিয়েছি বলেই আমার সঙ্গে সে এমনটা করলো। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, আমি ছুটিতে থাকার কারণে বিষয়টি জানিনা। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply